Monday 14 November 2016

ফুচকা তৈরির রেসিপি

স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবার গুলোর মধ্যে ফুচকা ও চটপটি অন্যতম। এই খাবারটিকে অনেকে পানি পুরিও বলে কারন পুরির সাথে টক পানি ও থাকে কিন্তু এসব বাইরের খাবার আমাদের হেলথ এর জন্য কতটা উপকারি সেটাও কিন্তু ভাবার বিষয়।
আপনি চাইলেই বাসায় খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন এই ফুচকা। আমরা সবাই জানি যে, ফুচকার তিনটি অংশ থাকে। একটি পুরি বা পাঁপড়, একটি ভর্তা আর অন্যটি তেঁতুলের টক। চলুন দেখে নেই এসব তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগবে… ফুচকা বানানোর উপকরণঃ সুজি –১ কাপ, ময়দা -১/৪ কাপ, সরিষা গুড়া -১/২ চা চামচ তালমাখনা-১/২চা চামচ তেল পরিমানমত বা ২ কাপ পানি পরিমানমত(তবে মনে রাখতে হবে খামির খুব বেশি শক্ত বা নরম হবে না নরমাল রুটির মত হবে) পুর বা ভর্তার জন্য উপকরণ- ছোলা বা বুটের ডাল ১ কাপ আলু সেদ্ধ বড় ১ টি আদা বাটা –আধা চা চামচ জিরা বাটা -আধা চা চামচ লবন- স্বাদ মত কাচা মরিচ কুচি- ইচ্ছা মত চাট মশলা- পরিমান মত পিঁয়াজ কুচি -১ চামচ তেতুলের টক তৈরির উপকরণ তেঁতুলের ৫০ গ্রাম ভাজা ধনে ও জিরার গুড়া আধা চা চামচ শুকনো ভাজা মরিচ গুড়া আধা চা চামচ লবন- স্বাদমত চিনি- স্বাদমত। ফুচকা প্রস্তুত প্রনালি বা ফুচকা তৈরির রেসিপি: পুরি বা পাঁপড়ের জন্য প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাপকৃত ময়দা, সুজি, সরিষা গুড়া,তালমাখনা বা।এরপর চামচ দিয়ে খুব ভালো ভাবে মিক্স করুন। চাইলে হাত দিয়েও মিক্স করতে পারেন।ভাল ভাবে মিক্স করার পর পানি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন। এরপর ডোটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর রুটির মত বেলে ফুচকার সাইজে ছোট ছোট করে কাটুন।আর রুটি তৈরির সময় যেন পিড়িতে লেগে না যাই তাই সামান্য হাতে নিয়ে পিড়িতে লাগিয়ে নিতে হবে। অপর দিকে তেল গরম দিন। ছোট ছোট কেটে রাখা পুরি গুলো ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে তুলুন। পুর বা ভর্তা তৈরির প্রস্তুত প্রনালীঃ- ফুচকার পুর বা ভর্তা তৈরির জন্য প্রথমে কাবলি ডাল ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ডালগুলো সামান্য জিরা বাটা, আদা বাটা, লবন হলুদ ও সামান্য তেল দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর সিদ্ধ করা ডালে চাট মসলা, কাচাঁ মরিচ কুঁচি, পিয়াজ কুচি দিয়ে মেখে নিন। তেঁতুলের টক তৈরির প্রনালীঃ তেঁতুলের টক তৈরির জন্য প্রথমে তেঁতুলের টুকরা গুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৫-১০মিনিট। এরপর তেঁতুলের বিচি থেকে আলাদা করে তাতে ভাজা ধনে ও জিরার গুড়া, শুকনা ভাঁজা মরিচ গুড়া, লবন, চিনি দিয়ে মিক্স করে নিন। ফুচকা পরিবেশনঃ পরিবেশন নতুন করে কি শেখাবো। সেটা তো সবার জানা। তবুও নতুন দের জন্য বলছি পুরি বা পাপড় গুলো হাত দিয়ে ফুটো করে তাতে তৈরি কৃত পুর বা ভর্তা গুলো ঢুকিয়ে দিন। এরপর তেঁতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফুচকা।

Tuesday 23 August 2016

নবাবি বিরিয়ানি


ঈদ আয়োজনের প্রতিটি পর্যায়ে থাকে আলাদা কিছু। নতুন রঙে নিজেকে সাজাতে পছন্দ করেন সবাই। যা খাবারের অয়োজনেও দেখা যায়। অতিথিরাও চান অন্যরকম কিছুর স্বাদ।
আর ঈদের মেনুতে অতি পরিচিত একটি ডিশ বিরিয়ানি। বিশেষ এ উপলক্ষের জাঁকজমক ও আভিজাত্যের সঙ্গে মানানসই হল নবাবি বিরিয়ানি। এবার চটপট জেনে নিন উপকরণের নাম ও প্রস্তুত প্রণালী।

উপকরণ
সুগন্ধি পানির জন্য : ১৬ কাপ গরম পানি, ২ টেবিল চামচ আদা কুচি, ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি, হাফ টেবিল চামচ আস্ত গোলমরিচ, ১০-১২টি এলাচ, ২ টুকরা দারচিনি, ১ চা চামচ আস্ত জিরা, ১ চা চামচ মৌরি, ১০টি লবঙ্গ, ১ চা চামচ জয়ত্রী, ৩টি তেজপাতা ও স্বাদ মতো লবণ।

মুরগি রান্নার জন্য : ১ কেজি ওজনের মুরগি চামড়া ছাড়িয়ে ৬ টুকরা করা, হাফ কাপ টকদই, ৪-৫টি আস্ত কাঁচামরিচ, স্বাদ মতো লবণ, হাফ কাপ পেয়াজ বেরেস্তা, ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা, ১ কাপ দুধ, ১টি তেজপাতা, ৫টি এলাচ, ৬টি লবঙ্গ, ১ টুকরা দারুচিনি, ৬টি গোলমরিচ, ১ চা চামচ জয়ত্রী গুড়া ও পরিমাণ মতো তেল, ঘি, চিনি।
চালের জন্য উপকরণ : বাসমতি চাল ১ কেজি চাল (১ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা), আগে করে রাখা সুগন্ধি পানি, লবঙ্গ, লবণ, ঘি, আলুবোখারা ও কিসমিস।
অন্যান্য উপকরণ : কাজু বাদাম, পেঁয়াজ বেরেস্তা, আস্ত কাঁচামরিচ ও জাফরান।
এবার দেখে নেওয়া যাক নবাবি বিরিয়ানি রান্নার প্রণালী—

১. মুরগির জন্য বেরেস্তা করে নিন। তেল ও ঘি সকল উপকরণ মুরগিতে মাখিয়ে নিন। এবার তেলে, ঘি দিয়ে গরম করে মাখিয়ে নেওয়া মুরগি ছেড়ে দিন। ভালো মতো কষিয়ে রান্না করুন। লবণ চেখে দেখুন। সামান্য ঝোলসহ নামান, কিছুটা কোরমার মতো হবে।

২. পানির জন্য উপকরণগুলো একটি পাতলা সুতি কাপড়ে বেধে ১৬ কাপ পানিতে দিয়ে দিন। এবার ওই পানি ফুটতে দিন। অল্প লবণ দিন। পানি ফুটে উঠলে মুরগির টুকরোগুলো দিয়ে দিন। না ঢেকে আধা সেদ্ধ করুন। এর পর মুরগি তুলে নিন। পানি মশলাসহ ফুটাতে থাকুন। যখন পানি কমে ৮ কাপ হবে তখন চুলা বন্ধ করুন।

৩. চালের জন্য একটি ননস্টিক বড় হাড়ি নিন। ঘি দিন। ঘি গরম হলে পানি ঝরানো চাল দিন। সুগন্ধি পানিটুকু ঢেলে দিন। মাঝারি আঁচে রান্না করুন। লবণ চেখে দেখুন। পানি শুকিয়ে আসলে কিসমিস ও আলুবোখারা দিয়ে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে চুল বন্ধ করুন।

৪. একটি বড় হাড়িতে রান্না করা মুরগি অর্ধেকটা দিয়ে তার উপর রান্না করা চাল অর্ধেকটা ছড়িয়ে দিয়ে উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাজুবাদাম ও কাঁচামরিচ দিন। এর উপর বাকি মুরগি দিন। এবার উপরে আবার রান্না করা চাল দিয়ে ছড়িয়ে দিন। তারপর বেরেস্তা, কাঁচামরিচ, কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিন। সবশেষে জাফরান মেশানো দুধ ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে দিন। বড় পাত্রে পানি ফুটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে মাঝারি আঁচে ওই পাত্রের উপর বিরিয়ানির হাড়ি বসিয়ে দমে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার পরিবেশন করুন।

Sunday 21 August 2016

প্রেসার কুকারে রসগোল্লা


জানেন কি? ভালো ব্র্যান্ডের দোকানের মতো একই মানের মিষ্টি আমরা তৈরি করতে পারি অনেক অল্প খরচে এবং সব মিলিয়ে মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই।

উপকরণ:
দুধ- ২ লিটার,লেবুর রস-৪টেবিল চামচ,পানি-৬ কাপ,চিনি-৩ কাপ, গোলাপ জল সামান্য।

প্রণালী:
ছানা তৈরি: দুধ জ্বাল দিয়ে অল্প করে লেবুর রস দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন।
দুধ থেকে সবুজ পানি বের হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে চেপে ভাল করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

এরপর ছানা হাত দিয়ে ভাল করে মাখাতে হবে মসৃণ হওয়া পর্যন্ত।প্রেসার কুকারে ৬ কাপ পানিতে চিনি দিয়ে চুলায় দিন। সিরা তৈরি হলে এক চামচ দুধ দিয়ে ময়লা তুলে ফেলুন। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন।

ছানা ২০-২৫ ভাগ করে গোল করে রাখুন। সব ছানার বল একসঙ্গে সিরায় দিয়ে প্রেসার কুকারের ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে দিন। মাত্র একটি সিটি বাজা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ব্যস এবার চুলা বন্ধ করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

সিরাসহ রসগোল্লা একটি বড় পাত্রে ঢালুন। ১ চা চামচ গোলাপ জল দিন।ঠাণ্ডা হলে স্পঞ্জ রসগোল্লা পরিবেশন করুন।প্রিয়জনের কাছে আরও প্রিয় হওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে সে যে খাবারটি পছন্দ করে সেটা ঘরে তৈরি করে টেবিলে সাজিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দেওয়া।

Monday 7 December 2015

শিকমপুরি কাবাব








মাটনের টুকরো-১/২ কেজি(পায়ের অংশ থেকে)
চানা ডাল-১/৩ কাপ
কাঁচা লঙ্কা-৩,৪টে
আদা রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো-২ চা চামচ
বড় এলাচ-৪টে
তেজপাতা-৪টে
দারচিনি-৪টে স্টিক
লবঙ্গ-৬টা
দই-১/২ কাপ
নুন-স্বাদ মতো
গরম মশলা গুঁড়ো-১,১/২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুচি-২,৩টে
ধনেপাতা কুচি-১/৩ কাপ
পুদিনা পাতা কুচি-২ টেবিল চামচ
ক্রিম-১/২ কেজি
লেবুর রস-৩,৪ টেবিল চামচ
ডিম-২টো(হালকা ফেটানো)
ঘি-ভাজার জন্য
কীভাবে বানাবেন-
ক্রিম সারারাত ফ্রিজে রেখে জমাট বাধিয়ে নিন। একটা বাটিতে মাংসের সঙ্গে সব মশলা জল দিয়ে ফোটান যতক্ষণ না জল শুকিয়ে মাংস নরম হয়ে আসে। ফোটানো মাংস থেকে লঙ্কা ও গোটা গরম মশলা সরিয়ে ফেলুন। মাংস জল ছাড়া মিহি করে বেটে নিন। মাংসের সঙ্গে দই, গরম মশলা গুঁড়ো, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা ও লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাংস সমান ভাগ কয়েকটা ভাগ করে নিন। প্রত্যেক ভাগ হাতের চাপে গোল চ্যাপ্টা বল বানিয়ে নিন। মাঝখানে ছোট ফুটো করে ক্রিম দিন। প্রতিটা কাবাব ডিমের গোলায় ডুবিয়ে গরম ঘিয়ে ভেজে তুলুন।

জালি কাবাব



উপকরণ: 
গরু বা খাসির মাংসের কিমা। বুটের ডালের ছাতু, গরম মসলা, টক দই, রুটি, টোস্ট বিস্কুট, ডিম, পুদিনা ও ধনেপাতা।

প্রণালি: 
বুটের ডালের ছাতু, গরম মসলা, টক দই, রুটি, টোস্ট বিস্কুট একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পুদিনা ও ধনেপাতা বেটে পেস্ট করে সব একসঙ্গে মেশাতে হবে। মেশানোর পরে সবকিছু এক করে খামিরের মতো করতে হবে। মেশানোর পর গোল গোল করে রাখতে হবে। ডিম ভেঙে তার মধ্যে গোল উপকরণটি ডুবিয়ে নিয়ে ডুবাতেলে ভাজতে হবে। তৈরি হয়ে যাবে জালি কাবাব।

Tuesday 28 July 2015

মুম্বাই মোরগ বিরিয়ানি ও রায়তা
















উপকরণ:

একটা মুরগি ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের,
বাসমতি চাল ৫০০ গ্রাম,
সয়াবিন তেল আধা কাপ,
ঘি আধা কাপ,আদাবাটা ১ চা-চামচ,
রসুনবাটা ১ চা-চামচ,
লালগুঁড়ামরিচ ১ চা-চামচ,
ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ,হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ,
টমেটো ২টি (টুকরা করে কেটে নেওয়া),
পেঁয়াজবাটা ২,৩ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ,
আলু ৩,৪টি (দুইভাগ করে কাটা),
গরম মসলার গুঁড়া ৩ টেবিল-চামচ,
এলাচ ৩টি,দারুচিনি ২ টুকরা,তেজপাতা ১টি,লবঙ্গ ১টি,
আস্ত গোলমরিচ ৪টি, ধনেপাতার কুচি আধা চা-চামচ,
কাঁচামরিচ ১ মুঠো (আস্ত), জাফরানের ৩,৪টি রং,
লবণ স্বাদ মতো,পরিমাণ মতো পানি।


গরম মসলা তৈরি:

আস্ত ধনে ১ টেবিল-চামচ। এলাচ ৪টি। দারুচিনি ৩টি (২ ইঞ্চি)। তেজপাতা ২টি। জিরা ১ চা-চামচ। বড় এলাচ ২টি। শুকনা-মরিচ ৩টি। মৌরি ১ চা-চামচ। জায়ফল ১ টার এক ভাগের তিন ভাগ। জয়ত্রী ১ চা-চামচ। গোল মরিচ ৪,৫টি।সব উপকরণ তাওয়ায় চুলায় আঁচে টেলে নিন। তারপর ব্লেন্ডারে কিংবা পাটায় বেটে গুঁড়া করুন।

পদ্ধতি

চাল ধুয়ে পানি ঝরানোর জন্য রেখে দিন। আদা-রসুনবাটা, লালমরিচগুঁড়া আর পেঁয়াজবাটা মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। মুরগি ভালো করে ধুয়ে কেটে স্বাদ মতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখে দিন ২০ মিনিট। কড়াইতে তেল দিয়ে আলু আর টমেটো আলাদা করে ভেজে তুলে রাখুন। এই তেলেই মুরগির টুকরোগুলো ভাজুন।
মুম্বাই মুর্গ বিরিয়ানি। মুম্বাই মুর্গ বিরিয়ানি। কিছুক্ষণ ভাজা হলে আগে করে রাখা মসলার পেস্টটুকু দিয়ে দিন। ভালো করে ভুনে ফেলুন। ভোনা হলে তাতে অর্ধেক পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভুনে নিন। এবার ভাজা টমেটো আর অর্ধেক গরম মসলা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।
 

মুরগি সিদ্ধ হলে নামিয়ে ফেলুন। এবার অন্য একটা হাঁড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিয়ে গরম হতে দিন। পানিতে স্বাদ মতো লবণ আর সব আস্ত গরম মসলাগুলো ছেড়ে দিবেন। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে ধুয়ে রাখা চাল পানিতে দিন। এভাবে চাল প্রায় ৭০ভাগ সিদ্ধ করুন। তারপর পানি ঝরিয়ে রাখুন।

এবার বড় একটা হাঁড়িতে যেটাতে বিরিয়ানি বসাবেন সেটাতে প্রথমে কিছুটা চাল হাঁড়িতে ছড়িয়ে দিন। চালের উপর রান্না করা মাংস পুরোটা ছড়িয়ে দিন। ভাজা আলুগুলো দিয়ে ধনেপাতার কুচি অর্ধেকের বেশি দিন। গরম মসলার গুঁড়া বাকিটা ছড়িয়ে দিন।

কিছুটা পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে বাকি চাল উপর দিয়ে দিন। জাফরান একটু পানিতে গুলিয়ে চালের এখানে সেখানে অল্প অল্প করে দিয়ে দিন। ঘি ছড়িয়ে দিয়ে দিন। তারপর বাকি বেরেস্তা, ধনেপাতার কুচি আর আধা কাপ পানি দিয়ে হাঁড়িটা ঢেকে দিন। হাঁড়ির নিচে তাওয়া দিন। এভাবে ২০ মিনিট রান্না করুন। রান্না হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। সঙ্গে দিন রায়তা।

রায়তা উপকরণ: 

টক দই ২৫০ গ্রাম। আঙুর ৬,৮টি (টুকরা করে কেটে নেওয়া)। ভাজা জিরাগুঁড়া ১/৩ চা-চামচ। লালমরিচ-গুঁড়া আধা চা-চামচ। গোলমরিচ-গুঁড়া ১/৩ চা-চামচ।

পদ্ধতি: 

টক দই চামচ দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। এরপর বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে উপর দিয়ে হালকা লালমরিচ-গুঁড়া ও জিরাগুঁড়া ছড়িয়ে পরিবেশন করুন

বেদানা চিংড়ি


উপকরণ :

মাঝারি চিংড়ি মাথা ও খোসা ছাড়ানো ১৫-২০টি, তেল ২ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, পাপরিকা পাউডার ১ চা-চামচ, রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ (লাল দেখে) ২টি মিহি কুচি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, বেদানার দানা ৪-৫ টেবিল চামচ, বেদানার রস ২০ মিলিলিটার বা সিকি কাপ, লবণ আধা চা-চামচ।

প্রণালি :

চিংড়িগুলো লবণ, পাপরিকা ও মরিচকুচি দিয়ে ১০ মিনিট মেখে রাখুন। প্যানে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে চিংড়িগুলো ৫-৬ মিনিট ভেজে তুলে রাখুন।

একই প্যানে এবার পেঁয়াজ-রসুনের কুচি হালকা সোনালি করে ভেজে নিন। এবার ধনেপাতা দিন।বেদানার রস দিয়ে দিন। বলক এলে চিংড়িগুলো দিয়ে আরও ৪-৫ মিনিট ঢাকনা ছাড়া রান্না করুন।ঢাকনা দিলে রং নষ্ট হয়ে যাবে। 

নামানোর সময় ২ টেবিল চামচ বেদানার দানা দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। বাকি বেদানার দানাগুলো পরিবেশনের সময় ওপরে ছড়িয়ে দিন।

সাদা সসে লেবু-মাছ













 উপকরণ : 

পছন্দমতো ফিশ ফিলে ২টি (৩৫০-৪০০ গ্রাম), লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ বা প্রয়োজনমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ বা আরও কম, তরল দুধ ১ কাপ, লেমন জেস্ট (লেবুর খোসার সবুজ অংশের কুচি) ১ টেবিল চামচ, ময়দা ৪ চা-চামচ, মাখন ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ।

প্রণালি : 

ফিশ ফিলে ধুয়ে কিচেন টাওয়াল দিয়ে মুছে সুবিধামতো টুকরা করে নিতে পারেন অথবা গোটাও রাখতে পারেন। এবার এতে লেবুর রস দিয়ে মেখে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর মেরিনেট করা মাছ ধুয়ে আবারও মুছে নিন।

এবার মাছের ওপর আধা চা-চামচ লবণ ও আধা চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দুই পিঠেই মেখে নিন। আলাদা ৩টি প্লেট নিন। একেকটায় একেক উপকরণ রাখুন। প্রথমটিতে ৩ চা-চামচ ময়দা ছড়িয়ে দিন, আরেকটিতে ডিম ফেটিয়ে ছড়িয়ে দিন। বাকি প্লেটে ব্রেড ক্রাম্ব ছড়িয়ে দিন।

ফিশ ফিলেগুলোকে প্রথমে ময়দায় মাখান, এরপর ডিমে চুবান, পরে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এবার ননস্টিক প্যানে একটু একটু তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে ফিলেগুলো ভেজে নিন।

আরেকটি প্যানে মাখন গরম করে ১ চা-চামচ রসুন হালকা করে ভেজে নিন। এবার তাতে ১ চা-চামচ ময়দা ও আধা চা-চামচ লবণ দিন। ৩০ সেকেন্ড ভেজে নিয়ে ১ কাপ দুধ দিয়ে দিন। ১ মিনিট পর বা বলক উঠে গেলে লেমন জেস্ট ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। সাদা সস রেডি।

এবার পরিবেশন পাত্রে ফিশ ফিলেগুলো পাশাপাশি রেখে তার ওপর সাদা সস ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

কিমা পরোটা


উপকরণ :

কিমা ১ কাপ, ময়দা ২ কাপ, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, চিনি সামান্য, ডিম ১টা, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি আধা চা চামচ, লবণ, ঘি ও তেল পরিমাণমতো। আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ।

প্রনালি : 

প্রথমে ময়দা, ঘি, ডিম, বেকিং পাউডার, চিনি ও লবণ একত্রে মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে ডো বানিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এবার কিমা, আদা-রসুন ও লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ দিয়ে মাখিয়ে নিন। এরপর ময়দার ডোকে ২ ভাগ করে ১ ভাগ দিয়ে একটা বড় রুটি বেলে তাতে ডিমের প্রলেপ দিয়ে কিমা ছড়িয়ে ছোট আকারে ভাজ করে তেলে ডুবিয়ে রেখে দিন ১০ মিনিট। তুলে আলতো করে বেলে নিয়ে তাওয়ায় ঘিয়ে মচমচে করে ভেজে নিন।

বিফ নাগেটস


উপকরণ :
 

গরুর মাংসের মিহি কিমা ২ কাপ, পেঁয়াজ কিমা ১ টেবিল চামচ, আদা কিমা ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল-চামচ, লালমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল-চামচ, ডিম ৫টি, সয়াবিন তেল ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, ব্রেডক্রাম ১ কাপ, তেল ভাজার জন্য, ময়দা ৩ টেবিল-চামচ।

প্রণালি :
 

মাংসের কিমা, পেঁয়াজ, আদা, গোলমরিচ, সয়াসস, লবণ, ৩টি ডিম, লেবুর রস, টমেটো সস, লালমরিচ ও গোলমরিচ গুঁড়া, ২ টেবিল-চামচ তেল, কর্নফ্লাওয়ার, বেকিং পাউডার দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে স্টিলের অথবা অ্যালুমিনিয়াম ডিশে তেল লাগিয়ে মাখানো মাংস ১ ইঞ্চি পরিমাণ পুরু রেখে হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে।

ফুটন্ত পানির হাঁড়ির ওপরে ডিশ রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ২৫-৩০ মিনিট স্টিমে রাখতে হবে। মাংস কাটার মতো শক্ত হলে চুলা থেকে নামিয়ে পছন্দমতো ডিজাইন করে কাটতে হবে।

দুটি ডিম ফেটিয়ে ময়দা মিশিয়ে নিয়ে নাগেটস ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ব্রেডক্রামে গড়িয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ডুবোতেলে সোনালি রং করে ভাজতে হবে।

Sunday 24 May 2015

চিকেন মাসালা

   
উপকরণ :
একটি মুরগির ৮ টুকরো, পেঁয়াজ কুচা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, লাল গুড়া মরিচ ১ চা চামচ, হলুদ গুড়া ১ চা চামচ, জিরা বাটা, গরম মসলা পরিমাণ মতো, কাঁচা মরিচ ৫টি, লবণ স্বাদ মতো, তেল ও পানি পরিমাণ মতো।
প্রণালি :
প্রথমে গরম তেলে মুরগির টুকরোগুলো হালকা ভেজে নিতে হবে। পরে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বাদামী করে তাতে একে
একে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে তাতে অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে মুরগির মাংস দিয়ে ২০ মিনিট অল্প আঁচে ঢেকে রাখতে হবে।
যখন মাংস রান্না হবে তখন কয়েকটি কাঁচা মরিচ উপরে রান্না করা মাংসে দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। পরে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

মুরগীর মাংসের ভর্তা




উপকরণ:
হাড় ছাড়া ফার্মের মুরগীর মাংস ১/২ কাপ,রসুন মোটা করে কাটা- ১/৪ কাপের একটু বেশী,কাঁচা মরিচ- স্বাদমত,লবণ- স্বাদমত,সরিষার তেল ১/৪ কাপ,ধনিয়া পাতা বড় এক মুঠো,জিরা গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ।
প্রণালি:
প্যানে সরিষার তেল গরম করে লবণ ও ধনিয়া পাতা বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ভাজুন। খেয়াল রাখবেন মাংস যেন ভাজা ভাজা না হয়। কেবল সেদ্ধ হবে।মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিন। একটু নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
মিশ্রণটি একটু ঠাণ্ডা হলে লবণ দিয়ে দিন। এবার ভালো করে মিশিয়ে একে পাতায় মিহি করে বেটে নিন।যদি ভর্তা খসখসে মনে হয় তাহলে একটু বাড়তি সরিষার তেল মিশিয়ে দিন। সবচাইতে ভালো হয় আচারের তেল মিশিয়ে দিলে।পরিবেশন করুন গরম ভাতের সাথে।

চিকেন স্টেইক


উপকরণ:
হাড় ছাড়া মুরগির মাংস ৬ টুকরা (পাতলা করে আধা ইঞ্চি পরিমাপে কাটা)। অলিভ অয়েল ২ টেবিল-চামচ। সয়াবিন তেল ৪ টেবিল-চামচ (ভাজার জন্য)। স্টেইক সস ২ টেবিল-চামচ। ভিনিগার ১ টেবিল-চামচ। গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ। পাপরিকা আধা চা-চামচ। লালমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ। পার্সলে বা ধুনেপাতা আধা চা-চামচ। লেবুর রস ১ চা-চামচ। লবণ স্বাদমতো।
পদ্ধতি:
মাংসের টুকরাগুলো ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। কিচেন হ্যামার বা শক্ত কিছু দিয়ে মাংসগুলো হালকাভাবে ছেঁচে নিন। সয়াবিন তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একটা পাত্রে মেশান। মাংসের টুকরাগুলো এই মিশ্রণের সঙ্গে মাখিয়ে দুই থেকে চারঘণ্টা ফ্রিজে মেরিনেইট হতে রেখে দিন।
তারপর বের করে একটা ননস্টিক ফ্রাই প্যান বা গ্রিল প্যানে অল্প অল্প করে তেল মাখিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজুন। দুপিঠ সমানভাবে ভাজবেন। সুন্দর একটা গাঢ় সোনালি খয়েরি রং হলে নামিয়ে ফেলুন।
পরিবেশনের জন্য: স্টেইকের সঙ্গে গ্রিল করা পছন্দমতো সবজি আর সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ।

গ্রিন চিকেন কারি


উপকরনঃ
মুরগির মাংস ১/২ কেজি,আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,টক দই ১/২ কাপ,কাঁচা মরিচ ৮-১০ টি,পিঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, ধনেপাতা ১-২ মুঠো,পুদিনা পাতা ১-২ মুঠো,গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,
তেল ১/৪ কাপ,লবণ স্বাদ মত, চিনি সামান্য( ইচ্ছা )।

প্রণালি
প্যানে তেল গরম করে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে সামান্য ভেজে চিকেনের টুকরো গুলো দিয়ে একটু ভেজে নিন।আদা, রসুন বাটা,গরম মশলা, লবণ দিয়ে ভালো মত কষিয়ে ঢেকে দিয়ে রান্না করতে হবে ।
প্রয়োজনে সামান্য পানি দেয়া যেতে পারে।এবার ব্লেন্ডারে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা,পুদিনা পাতা আর টক দই ব্লেন্ড করে নিতে হবে।রান্না শেষে ধনেপাতার মিশ্রন ও সামান্য চিনি দিয়ে ৫-১০ মিনিট রান্না করে মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলতে হবে।

কিমা চপ


উপকরণঃ
১ কাপ মাংসের কিমা (চিকেন/বিফ),১ কাপ সেদ্ধ আলু,১ কাপ ব্রেডক্রাম্ব,
১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা,২ টি পেঁয়াজ মিহি কুচি,আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো,আধা চা চামচ কাবাব মসলা (ইচ্ছে),আধা চা চামচ সয়া সস,
৩/৪ টি মরিচ বাটা (ইচ্ছে হলে কুচিও করতে পারেন),লবণ স্বাদমতো,২ টি ডিম,তেল ভাজার জন্য।

পদ্ধতিঃ
কিমা সেদ্ধ করে পানি ঝড়িয়ে রাখুন এবং আলু সেদ্ধ হাতে চটকে নিন মিহি করে। ডিম ভেঙে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে রাখুন। ডিমের সাদা অংশে ১ চিমটির কম লবণ দিয়ে ফেটিয়ে আলাদা রাখুন।১ টি পাত্রে কিমা, আলু সেদ্ধ, ডিমের কুসুম নিয়ে এতে দিন বাকি মসলা (ব্রেডক্রাম্ব ও তেল বাদে)। একসাথে ভালো করে মিশিয়ে ডো এর মতো তৈরি করুন। যদি মিশ্রণটি বেশি নরম হয় তাহলে এতে পাউরুটি টুকরো দিয়ে নিন।
এরপর ছোটো ছোটো গোল বলের মতো তৈরি করে নিন। ইচ্ছে হলে এভাবেও রাখতে পারেন নতুবা হাতে চাপ দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিতে পারেন।
চপ সব তৈরি হয়ে গেলে প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। এরপর চপগুলো একটি একটি করে ডিমের সাদা অংশে চুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বের উপর গড়িয়ে তেলে দিন।

লালচে হয়ে ভাজা হলে তুলে কিচেন টিস্যুর উপর রাখুন যাতে বাড়তি তেল শুষে নেয়। সব চপ ভাজা হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে সসের সাথে পরিবেশন করুন অত্যন্ত সুস্বাদু ‘কিমা চপ’।

চাপ-পরোটা


উপকরণ:
হাড়ছাড়া গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম, কাবাব মসলা ২ চা চামচ, আদা ও রসুনবাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ চা চামচ, কাঁচা মরিচবাটা ২ চা চামচ, জিরা ও ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চামচ, পেঁপে বাটা এক কাপ, টক দই এক কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেজপাতা ২টি, গরম মসলা গুড়াঁ ১ চা চামচ, লেবুর রস ২ চা চামচ, সয়াবিন তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালী:
গরুর মাংস পাতলা করে কেটে নিয়ে ছেঁচে নিতে হবে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-কাঁচা মরিচ বাটা, লবণ, কাবাব মসলা, জিরা, ধনে গুঁড়া, তেজপাতা, গরম মসলা, টক দই ও লেবুর রস দিয়ে মেখে ২ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন।
এবার ফ্রাই প্যানে তেল গরম হলে মাংস দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। মাংস সিদ্ধ হলে আ‍ঁচ বাড়িয়ে ভাজতে থাকুন। মাংসের রঙ কালচে হয়ে এলে নামিয়ে নিন। পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।
জেনে নিন পরোটা কীভাবে তৈরি করবেন।
উপকরণ:
ময়দা ৪ কাপ, দুধ ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো, তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী:
ময়দা, চিনি, লবণ, অর্ধেক ঘি ও দুধ দিয়ে মেখে পরিমাণমতো পানি দিয়ে পরোটার ডো তৈরি করুন। এবার গোল রুটি বেলে তেলের প্রলেপ দিয়ে তার ওপর ময়দার ছিটিয়ে দিয়ে মাঝ থেকে পেঁচিয়ে পরোটার লেচি করে নিন। এভাবে ২০ মিনিট রেখে দিন। পছন্দের আকারে পরোটা বেলে ডুবো তেল ও ঘি তে সোনালী করে ভেজে তুলুন।
সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Tuesday 7 April 2015

প্রন তন্দুরি



উপকরণ : 

চিংড়ি মাছ ৫০০ গ্রাম, ঘি বা মাখন ২ চা চামচ,টক দই ২ চা চামচ,আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, দারচিনি গুঁড়া অল্প, বড় এলাচ ১ টি, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো, চিনি– সামান্য,

প্রণালী : 

চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে টক দই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। এবার একে একে আদা বাটা , রসুন বাটা , জিরা গুঁড়া , ধনে গুঁড়া , শুকনা মরিচের গুঁড়া , এলাচ দানা ও সামান্য চিনি দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে এক ঘণ্টা ম্যারিনেট হতে দিন ।এক ঘণ্টা পর বাঁশের কাঠিতে চিংড়ি মাছগুলো গেঁথে অল্প ঘি মাখিয়ে প্যানে ভেজে নিন। দুই দিকই ভাল মতো ভাজবেন। তবে চিংড়ি মাছ বেশি রান্না করলে শক্ত হয়ে যায়। তন্দুর করা হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে লেবুর রস ছড়িয়ে সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন। ওভেনে করতে চাইলে ১৮০ ডিগ্রিতে প্রি হিট করে ১০–১৫ মিনিট গ্রিল করে নিন।

চিকেন নুডুলস স্যুপ


উপকরণ :
মাখন ২ টেবিল চামচ, গাজর ১ কাপ, আধা কাপ পেঁয়াজ, দারুচিনি ১ টুকরো, ছোট ছোট টুকরো করা মাংস, মাংসের স্টক ৪ কাপ, সয়াসস ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১/২ চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, সিদ্ধ এগ নুডুলস এক কাপ, লবণ সামান্য।

প্রণালি :
মুরগির হাড় গুলো ধুয়ে সামান্য আদা বাটা, রসুন বাটা ও লবণ, ১ টি তেজপাতা ও দুই লিটার পানিতে সেদ্ধ করুন। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি হয়ে গেল মুরগির স্টক। মুরগির মাংস লবণ এবং সয়াসস মেখে ২০ মিনিট রেখে দিন। পাত্রে মাখন গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে মাংস ও গাজর দিন। এবার গোলমরিচের গুড়া দিয়ে আগেই করে রাখা চিকেন স্টক দিয়ে দিন। স্যুপ ফুটে উঠলে এতে নুডুলস দিন, এ সময় ঘন ঘন নাড়তে হবে। সবশেষে সয়াসস, সিরকা দিন। ফুটে উঠলে কাঁচামরিচ কুচি, লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ মজার চিকেন নুডুলস স্যুপ।

Monday 6 April 2015

লবস্টার তন্দুরি


উপকরণঃ

লবস্টার ৫০০ গ্রাম, গোলমরিচ সিকি চা চামচ, মরিচগুঁড়া আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, সরিষা বাটা আধা চা চামচ, মাখন ১ চা চামচ, অলিভ অয়েল ১ চা চামচ, ডিমের হলুদ অংশ ১ চা চামচ, বেড ক্রাম ২ টেবিল চামচ, চিজ ৫০ গ্রাম, গাজর টুকরা ১০ গ্রাম, ছোলোরি ১০ গ্রাম ও লবণ আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

১. ফ্রাইপ্যানে মাখন ও অলিভ অয়েল অল্প গরম করুন।
২. আস্ত লবস্টার পরিষ্কার করে লবণ, গোল মরিচ, মরিচগুঁড়া ও সরিষা বাটা দিয়ে মেরিনেট করে রাখুন।
৩. এরপর ফ্রাইপ্যানে অল্প ভেজে তুলে ফেলুন।
৫. এবার ফ্রাইপ্যানে বেডক্রাম, গাজর, ছোলোরি ও ডিমের হলুদ অংশ একত্রে মিশিয়ে সস তৈরি করে নিন।
৬. লবস্টার তৈরি করা সসের সঙ্গে মাখিয়ে চুলায় দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
৭. এরপর লবস্টারের ওপরে চিজ দিয়ে মাইক্রোওভেনে দুই মিনিট বেক করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

মিষ্টি দইয়ে মাংসের সালাদ


উপকরণ:

হাড় ছাড়া গরুর মাংস সেদ্ধ এক কাপ, ক্যাপসিকাম তিন রঙের তিনটি, কাঁচা মরিচকুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, শসা ১টা, গাজর ১টা, পেঁয়াজ ১টি বড়, মিষ্টি দই পরিমাণমতো ও গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি:

প্রথমে মাংস সেদ্ধ করে লম্বা করে কেটে নিন। এবার ক্যাপসিকাম, শসা, পেঁয়াজ, গাজর লম্বা করে কেটে সব একসঙ্গে মেশাতে হবে। এবার কাঁচা মরিচকুচি, লবণ, গোলমরিচ ও মিষ্টি দই দিয়ে পরিবেশন করুন।

শাহি কাঠি কাবাব



উপকরণ :

মাংসের কিমা ২ কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, পেঁপে বাটা ১ টেবিল চামচ, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, বাদামকুচি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ১িট, জয়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া আধা চা-চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, কাঠি কয়েকটা। ভাজার জন্য ঘি ৩ টেবিল চামচ ও তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি :

কিমার সঙ্গে সব উপকরণ মেখে কাঠিতে জড়িয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে ঘি ও তেল গরম করে ভেজে নিন।

চিকেন রেশমি কাবাব


উপকরণ :

মুরগির মাংস ৭০০ গ্রাম, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন কাটা মিলিয়ে ২০০ 

 গ্রাম, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ, ঝরি করা পানি আধা কাপ, 

কাঁচামরিচ ও পুদিনা বাটা ২ টেবিল চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ 

চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি :

প্রথমে মুরগির মাংসের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তাতে একে 

একে সব বাটা মসলা, তেল ও টক 

দই দিয়ে মাখিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।এবার কাঠিতে জড়িয়ে 

নিন। তারপর একটি ননস্টিক 

ফ্রাইপ্যানে অল্প আঁচে সোনালি রঙের করে ভেজে একটি সার্ভিং ডিশে 

তুলে নানরুটি দিয়ে গরম গরম 

পরিবেশন করুন।

বিফ ঝুরা কাবাব


উপকরণ :

হাড়ছাড়া গরুর মাংস এক কেজি ছোট ছোট টুকরা করা, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, কাবাবের গরম মসলা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, সিরকা আধা কাপ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, কাঁচামরিচ ৮-১০টি, বড় পেঁয়াজ কিউব করে কাটা এবং ভাজার তেল পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালি :

১.প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর মাংসগুলো ছেঁচে নিন। এখন ছেঁচা মাংসে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন।
২.পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংসগুলো শুকনা করে সিদ্ধ করে নিন।
৩..এখন একটি ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে তাতে সিদ্ধ মাংস, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচসহ ভাজা ভাজা করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

চিকেন আচারি কাবাব


উপকরণ :

মুরগির মাংস হাড় ছাড়া ৩০০ গ্রাম, সরিষার তেল ৬০ গ্রাম, টক দই 

৫০ গ্রাম, তানদুরি মসলা ২০ গ্রাম, আমের আচার ৫০ গ্রাম, বিট লবণ 

আধা চা চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ ও সাদা লবণ আধা চা 

চামচ।


প্রস্তুত প্রণালি :

১.প্রথমে মুরগির মাংস চার কোনা করে কেটে নিন। এবার সব

উপকরণ দিয়ে মুরগির মাংস মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।

২.১ ঘণ্টা পর শিকে গেঁথে ওভেন এ গ্চিরিল করে নিন।তৈরি হয়ে যাবে

চিকেন আচারি কাবাব।

হাঁড়ি কাবাব


উপকরণ:

গরুর পেছনের রানের চাকা মাংস এক কেজি, দেশি পেঁয়াজ টুকরা এক কাপ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁপেবাটা দুই টেবিল-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া দুই চা-চামচ, লবণ দুই চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি দুই চা-চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, আদাবাটা এক চা-চামচ, দারচিনিবাটা আধা চা-চামচ, গোটা গোলমরিচ ১২টি, টক দই আধা কাপ, কাঁচ মরিচবাটা এক টেবিল-চামচ।

প্রণালি:

১.মাংস পাতলা করে এক ইঞ্চি চওড়া ও দেড় ইঞ্চি লম্বা করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরান। বাটিতে মাংসগুলো নিয়ে তেল, পেঁয়াজ ও চিনি বাদে অন্যান্য সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে মেখে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রাখুন।

২.হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ সোনালি রং করে বেরেস্তা করুন। আধা কাপ বেরেস্তা উঠিয়ে বাকি বেরেস্তায় মাংসগুলো দিয়ে পাঁচ মিনিট মাঝারি আঁচে ভেজে ঢেকে দিন। উঠিয়ে রাখা বেরেস্তা ঠান্ডা হলে চিনি মাখিয়ে আধভাঙা করে রাখুন।

৩.মাংস থেকে পানি ছাড়া শুরু করলে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে পানি টেনে মাখা মাখা হলে চিনি মাখানো বেরেস্তা দিয়ে হালকা আঁচে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর পরোটা, নান বা বাখরখানির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

কাবাবি মুরগি


উপকরণ:

মুরগি দেড় কেজি ১টা, সরিষার তেল সিকি কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া দেড় চা-চামচ, হলুদ ১ চিমটি, মাঝারি সাসলিক কাঠি ৮-১০টি, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি:

১.মুরগি টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। তেল বাদে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মুরগিতে মেখে ২০ মিনিট রেখে দিন।
২.এবার টুকরাগুলো সাসলিক কাঠিতে গেঁথে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে কাঠিতে গাঁথা মাংস দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
৩.সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে কাবাবের মতো পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে পরিবেশন।

ঝলসানো ইলিশ কাবাব

যা লাগবে :

আস্ত ইলিশ একটি, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা ১ চা চামচ, সাদা সরষে বাটা আধা চা চামচ, টকদই আধা কাপ, পেঁপে বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, গরমমশলা বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা তেল পরিমাণমতো, কাঠকয়লা পরিমাণমত, গুঁড়ো মরিচ ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন :

১.প্রথমে মাছের আঁশ ছাড়িয়ে নিন। তারপর মাছের পেটের দিকটা চিরে ভেতর থেকে সব নাড়িভুঁড়ি বের করে ভালো করে মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। এখন মাছের গা ছুরি দিয়ে হালকা করে চিরে নিন।

২.তারপর তাতে একে একে বাটা ও গুঁড়া মশলা, লবণ, তেল এবং টকদই ভালো করে মাখিয়ে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন।

৩.এরপর একটি কাবাবের চুলায় কয়লা জ্বালিয়ে অল্প আগুনে ওপরে একটি কাবাবের ট্রেতে অথবা ওভেন এ গ্মারিল্ করে নিন। রেখে এপিঠ ওপিঠ করে ঝলসিয়ে তৈরি করুন ঝলসানো ইলিশ কাবাব।

লোহারি কাবাব


উপকরণঃ

মুরগির মাংস ৮০০ গ্রাম, কাশ্মীরি রেড চিলি পাউডার ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চামচ, লবণ স্বাদমতো, মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ২টি, চাট মসলা আধা চা চামচ।

ম্যারিনেটের জন্যঃ

দই ১ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি রেড চিলি পাউডার ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গরম মসলা আধা চা চামচ, সরিষা তেল ২ চা চামচ, বাটার সামান্য।

যেভাবে তৈরি করবেনঃ

১. মুরগির বুকের ও পায়ের মাংস টুকরো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর মাংসের মধ্যে কাশ্মীরি রেড চিলি পাউডার, লেবুর রস ও লবণ মেখে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
২. পেঁয়াজ গোল গোল করে কেটে ছাড়িয়ে নিন।
৩. মাংসে দই মিশিয়ে কাপড়ে বেঁধে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখুন। এরপর আদা বাটা, রসুন বাটা, কাশ্মীরি রেড চিলি পাউডার, লবণ, লেবুর রস, গরম মসলা, সরিষার তেল মাখিয়ে নিন।
৪. ম্যারিনেটের জন্য ফ্রিজে তিন থেকে চার ঘণ্টা রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করে ওভেনে ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট রান্না করুন।
৫. ওভেন থেকে বের করে অপর পাশ উল্টিয়ে একটু বাটার দিয়ে আবার ৪ মিনিট রান্না করুন।
৬. চাট মসলা, পেঁয়াজ টুকরা ও লেবুর টুকরা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন লোহারি কাবাব।

Sunday 8 February 2015

অনথন


উপকরণ :

চিকেন কিমা আধা কাপ, ময়দা আধা কাপ, চাইনিজ মসলা ১ চা চামচ, এরারুট আধা কাপ, তেল পরিমাণমতো, কলিজা একটি।

প্রস্তুত প্রণালি :

চিকেন কিমা, কলিজা কুচি কুচি করে ধুয়ে নিন। পাত্রে তেল দিন। তেল গরম হলে কিমা ও কলিজা দিন। চাইনিজ মসলা দিয়ে কিমা রান্না করে ঠাণ্ডা করুন। এবার ময়দা ও এরারুট, ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়ান দিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শক্ত ডো তৈরি করুন। রুটি বেলে ৪ পিস অনথন তৈরি করে ডুবো তেলে ভেজে নিন।

ফ্রুট কাস্টার্ড




কাস্টার্ড সস তৈরি : 
ঘন দুধ ১ লিটার, চিনি ১ কাপ, ডিম ২টি, কাস্টার্ড পাউডার ২ টেবিল-চামচ। ঠান্ডা দুধে সব উপকরণ মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে এবং অনবরত নাড়তে হবে। কাস্টার্ড সস ঘন হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে।
যেকোনো মিষ্টি ফল ২ কাপ (কলা, পেঁপে, আপেল, আনার)। কিশমিশ কুচি ১ টেবিল-চামচ, বাদাম কুচি ১ টেবিল-চামচ, পরিবেশনের সময় সব ফল ও বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায়।

ফ্রুটস রায়তা


উপকরণ :
শসা, গাজর আধা কাপ, আপেল আধা কাপ, আঙ্গুর ও আনারস আধা কাপ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ,টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ,
বিট লবণ আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ২-৩টি।

প্রণালি :
শসা, গাজর, আপেল, আনারস কেটে নিন কুচি করে। এবার একটি পাত্রে সব উপকরণ এক সাথে মিক্স করুন। তৈরি হয়ে গেল ফ্রুটস রায়তা।

Sunday 25 January 2015

বোরহানি




উপকরণ : 

টক দই ১ কেজি, ধনেপাতা বাটা ৩ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা বাটা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ২ টেবিল চামচ, টমেটো কেচাপ ৪ টেবিল চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ টেবিল চামচ ও লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি : 

টক দইয়ের সঙ্গে ধনেপাতা বাটা, পুদিনা পাতা বাটা, কাঁচামরিচ বাটা, সরিষা বাটা, আদা, রসুন বাটা, টমেটো কেচাপ, ভাজা জিরার গুঁড়া, চাট মসলা, চিনি, লেবুর রস, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে গ্গ্নাসে বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন বোরহানি।

দই চিংড়ি



উপকরণ : 

টক দই ১ কাপ, মাঝারি সাইজের চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ১ কাপ, আস্ত কাঁচামরিচ ৫-৬টি, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী ও তেল পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালি : 

প্রথমে চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে কিউব করা পেঁয়াজ এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তারপর টক দই এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন সাজিয়ে।

কাশ্মীরি পোলাও



উপকরণ : 
পোলাওয়ের চাল ৩০০ গ্রাম, কিশমিশ ৫০ গ্রাম, আপেল টুকরা ১০০ গ্রাম, কাজুবাদাম ১০০ গ্রাম, আনারস টুকরা ১০০ গ্রাম, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ৫০ গ্রাম, মাওয়া ৫০ গ্রাম, তেল ১০০ গ্রাম, গরম মসলা পরিমাণমতো।

প্রণালি :
চাল ভালো করে পানিতে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। অন্য একটি সসপ্যানে ঘি ও তেল ঢেলে তাতে গরম মসলা দিয়ে নাড়ুন। এরপর কিশমিশ, আপেল, আনারস, কাজুবাদাম দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ, চিনি, মাওয়া ঢেলে এর ওপর সেদ্ধ করা চাল ঢেলে ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

নারিকেলের মোরগ বিরিয়ানি


উপকরণ
ক. পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, এলাচ ৪টি, দারুচিনি ৪টি, তেজপাতা ৪টি, নারিকেলের ঘন দুধ চালের দেড় গুণ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, পামতেল কোয়াটার কাপ।

খ. মোরগ ৩ কেজি, টক দই ১ কাপ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, আলুবোখারা ৫টি, মিষ্টি দই কোয়াটার কাপ, আলু ৩টি মাঝারি সাইজের, জয়ত্রি গুঁড়া আধা চা চামচ, মাওয়া গুঁড়া আধা কাপ, নারিকেল বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া আধা চা চামচ, কিশমিশ ১০ পিস, কাজুবাদাম ১০ পিস, নারিকেল কুচি পরিমাণমতো, কয়লা ৪ টুকরা, কাঁচা মরিচ ১২টি, দুধ আধা কাপ, পামতেল ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালি

পোলাও রান্না:
১. চাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. প্রেশার কুকারে ঘি দিয়ে তাতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবণ দিয়ে একটু ভাজা হলে নারিকেলের দুধ দিন।
২. পোলাও ফুটে উঠলে চিনি দিন।

 মোরগ রান্না
১. মোরগ ৪ টুকরা বা পছন্দমতো টুকরা করে নিতে পারেন।
২. আধা কাপ দুধের ভেতর জয়ত্রি গুঁড়া, গরম মসলার গুঁড়া, বাদাম বাটা, নারিকেল বাটা, গোলাপজল দিয়ে গুলিয়ে রাখুন।
৩. গরম তেলে বা ঘিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিন। আলু ভেজে নিন। বাদাম, কিশমিশ, নারিকেল ভেজে নিন। কাঁচা মরিচ সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিন।
৪. মোরগের মাংসের মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, টক দই, লবণ, তেল, আদা, রসুন, আলুবোখরা, পোস্তদানা বাটা দিয়ে মাখিয়ে রান্না করুন। মাংস একটু সিদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ, আলু দিয়ে মাংস রান্না করুন। তারপর তেল উঠে এলে নামিয়ে নিন।
৫. তারপর পোলাও কুকার থেকে ১ ভাগ রেখে মাংসের লেয়ার দিয়ে কিশমিশ, বাদাম, নারিকেল কুচি, পেঁয়াজ বেরেস্তা, তার ওপর আবার পোলাও দিয়ে আবার মাংসের লেয়ার একইভাবে ৩টি লেয়ার দিয়ে ওপরে দুধে ভেজানো মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে কয়লার আগুনে ঘি দিয়ে পোলাওয়ের ওপর ১০-১৫ মিনিট দমে দিন। তারপর পছন্দমতো ডেকোরেশন করে পরিবেশন করুন।

জাফরানি ক্ষিরের পাটিসাপটা


ক্ষিরের জন্য : 
দুধ ২ কাপ। ডাবল ক্রিম ১ কাপ (না দিলেও হবে)। চিনি আধা কাপ। জাফরান ১ চিমটি। চালের গুঁড়া বা কর্নফ্লাওয়ার ১ চা-চামচ।

দুধ খুব ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। ফুটে উঠলে চিনি, ক্রিম, জাফরান দিয়ে নাড়তে থাকুন। ক্ষির না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। নইলে পাতিলের তলায় লেগে যাবে। দুধ যখন খুব ঘন হয়ে আসবে তখন চালেরগুঁড়া বা কর্নফ্লাওয়ার একটু পানি দিয়ে গুলে নিয়ে দুধে মিশিয়ে নাড়তে হবে। ক্ষির ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

পিঠার গোলা :
 চালেরগুঁড়া ১ কাপ। ময়দা ১ কাপ। গুড় ১ কাপ বা স্বাদ অনুযায়ী চিনিও দিতে পারেন। পানি ১ কাপ।

গুড় পানি দিয়ে চুলার আগুনে গলিয়ে নিতে হবে। গুড় ঠান্ডা হলে চালের গুঁড়া আর ময়দা মিশিয়ে এক ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। তারপর একটি ছড়ানো ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে ডালের বড় চামচের এক চামচ গোলা নিয়ে প্যান দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাপর মাঝাখানে দেড় চা-চামচ ক্ষির দিয়ে পিঠা ভাজ করে নিতে হবে।

টিপস : গোলা খুব ঘন বা পাতলা হবে না। গুড় গরম থাকতে কখনও ময়দা আর চালের গুঁড়ার সঙ্গে মেশাবেন না। তাই ঠাণ্ডা করে তারপর মেশাবেন। পিঠার গোলায় চালের গুঁড়া আর ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। শুধু চালের গুঁড়া দিয়ে করলে পিঠা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর মাঝখানে থেকে ভেঙে যায়।

পাটিসাপটা


উপকরণ : 
ময়দা দেড় কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, ডিম ১টি, চিনি পৌনে এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, পানি ২ কাপ, লবণ সামান্য।

প্রণালি : 
ডিম ফেটিয়ে তাতে চিনি, লবণ ও পানি মিশিয়ে আরও ফেটুন। বাকি উপকরণগুলো এর সঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। ফ্রাইপ্যান গরম করে সিকি কাপ বাটার দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প জ্বালে পিঠা বানিয়ে নিন। পিঠা ফ্রাইপ্যানের গা থেকে উঠে এলে চুলা থেকে নামিয়ে পুর ভরে ভাঁজ করে নিন।

পুরের উপকরণ : 
দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, এলাচির গুঁড়া সিকি চা-চামচ।

প্রণালি : 
দুধ, চিনি জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে এলে তাতে গুঁড়া দুধ, এলাচির গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে হালুয়ার মতো করে নামিয়ে নিন।

পুঁইপাতায় কাচকি ভাজি

উপকরণ :
কাচকি মাছ ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, সাদা সরিষা বাটা ১ চা-চামচ, মরিচ ও ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, বড় পুঁইপাতা ১০-১২টি, টুথপিক প্রয়োজনমতো, লবণ ও কাঁচা মরিচের কুচি স্বাদমতো, টমেটো কুচি ১টি ও ভাজার জন্য তেল ১ কাপ।

ভাজার মিশ্রণ :
কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল-চামচ, ডিম ১টি, চালের গুঁড়া ৩ টেবিল-চামচ, লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া স্বাদমতো। সব মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।

প্রণালি :
মাছ পরিষ্কার করে তেল ছাড়া অন্য উপকরণ সব এতে মাখিয়ে ২-৩ মিনিট রাখুন। এবার পুঁইপাতার ভেতর অল্প অল্প মাখানো মাছ ভালো করে ভরে পাতা ভাঁজ করে টুথপিক দিয়ে আটকান। তেল গরম করে ভাজার মিশ্রণে ডুবিয়ে পাতায় আটকানো মাছ মচমচে করে ভেজে তুলুন।

Sunday 28 December 2014

মাটন কাঠি কাবাব



যা লাগবে : 
হাঁড় ছাড়া মাংস এক কেজি, কাবাব মশলা এক চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, আদা-রসুন বাটা দুই টেবিল চামচ, পেঁপে বাটা এক টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ বাটা এক চা চামচ, গরম মশলা এক চা চামচ, শাহী জিরা বাটা আধা চা চামচ, গাজর ২০০ গ্রাম, ক্যাপসিকাম ২০০ গ্রাম, টমেটো ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ টুকরা ১০-১৫টি, জায়ফল-জয়ত্রী আধা চা চামচ, টকদই আধা কাপ, টোস্ট বিস্কুট গুঁড়া দুই কাপ, তেল ভাজার জন্য, লবণ স্বাদমতো, কাঠি ১২টি, বেসন এক টেবিল চামচ, ডিম দুইটি

যেভাবে করবেন : 
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। ডিম ফেটে টোস্টের গুঁড়া করে রাখুন, গাজর গোল গোল করে কেটে পেঁয়াজ ক্যাপসিকাম, টমেটো পিস করে আলাদা করে রাখুন।
দ্বিতীয় : একটি পাত্রে মাংস সামান্য তেল লবণ ও সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মেখে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। একটি কাঠিতে এক পিস মাংস, এক পিস গাজর, এক পিস মাংস, এক পিস পেঁয়াজ, এক পিস মাংস, একপিস ক্যাপিসিকাম, টেমেটো ঢুকিয়ে কাঠিতে ভরে টোস্টের গুঁড়া ভালো করে মেখে ফেটা ডিমে ডুবিয়ে গরম ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে তেল কষিয়ে চাটনি বা সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মাটন কাঠি কাবাব।

মেথি পরোটা



উপকরণ :

ময়দা ২ কাপ,চিনি ১ চা চামচ,তেল ১ টেবিল চামচ,লবণপরিমাণ মতো,ঘি ১ চা চামচ,বেকিং আধা চা চামচ,তেল ও ঘি মিশিয়ে ভাজার জন্য,পানি পরিমাণমতো,মেথি ১ টেবিল চামচ,ধনিয়া পাতা কুচি ইচ্ছামত।

প্রস্তুত প্রণালি :
১.ময়দা একটি পাত্রে নিতে হবে। মেথি ৪/৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। একটি ছাঁকনিতে পানি ঝরিয়ে পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হবে।

২.তারপর ময়দার মধ্যে লবণ, চিনি, তেল, ঘি, মেথি, ধনিয়া পাতা ও পানি দিয়ে ভালো করে মেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ২/৩ ঘণ্টা।

৩.আবার গোলা ময়দা ভালো করে মেখে তারপর পিঁড়ির ওপর ময়দা ছিটিয়ে গোল করে আধা ইঞ্চির মতো রুটি বেলে ফ্রাইপ্যানে ঘি ৪.মেশানো তেল দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।

হীরা কাবাব


উপকরণ:
সেদ্ধ করা কলিজা ৫০০ গ্রাম, আলু সেদ্ধ (মাঝারি) ২টি, গাজর সেদ্ধ ২টি, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, (দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, জয়ত্রী পরিমাণমতো নিয়ে টেলে গুঁড়া করে নিতে হবে)। ডিম ১টি, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো, তেল প্রয়োজন মতো, সাসলিকের কাঠি ৭-৮টি।

প্রণালী:
কলিজা, আলু ও গাজর চারকোনা করে টুকরো করে নিতে হবে। তেল ও টমেটো সস ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট রাখতে হবে।ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে সাসলিকের কাঠিতে পরপর কলিজা আলু ও গাজর গেঁথে ছেঁকা তেলে ভেজে বাকি মসলা কষে টমেটো সসে মেখে হীরা কাবাব পরিবেশন করুন।

কলিজা ডাল



উপকরণ:
পাঁচমিশালি ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কলিজা আধা কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল-চামচ, টক দই সিকি কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল-চামচ, তেল আধা কাপ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গোটা ২টি, গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, মেথি, জিরা গোটা ১ চা-চামচ, মাখন ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি:
ডালভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে তা হালকা লাল হলে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে কলিজা দিতে হবে। কলিজা দুবার কষাতে হবে। এবার ডাল দিয়ে পানি দিতে হবে। মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার অন্য একটি প্যানে মাখন ও শুকনা মরিচ দিয়ে লাল হলে জিরা-মেথি ফোড়ন দিয়ে প্যানের ওপরে ঢেলে দিতে হবে এবং ছ্যাত করে শব্দ হতে হবে।

ফুলকপির পায়েস



উপকরণ :
বড় ফুলকপি ১টি, দুধ ২ লিটার, আধা ভাঙা পোলাওয়ের চাল আধা কাপ, কনডেন্সড মিল্ক এক টিন; নতুন খেজুরের গুড় এক কাপ, এলাচ গুঁড়া এক চা-চামচ; দারুচিনি গুঁড়া আধা চা-চামচ; পেস্তা ও আমন্ড বাদাম কুচি ৪ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, হাতে বানানো মাওয়া গুঁড়া এক কাপ।

প্রণালি :
চাল এক লিটার দুধ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। ফুলকপির ফুলগুলো ছোট করে কেটে আধা লিটার দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। চালের সঙ্গে মিশিয়ে গুড়, বাকি আধা লিটার দুধ, দারুচিনি, এলাচ গুঁড়া দিয়ে রান্না করতে হবে। ঘন হয়ে এলে কনডেন্সড মিল্ক, হাতে বানানো অর্ধেকটা মাওয়া, কিশমিশ, পেস্তা, আমন্ড কুচি দিতে হবে। ফুলে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে মাওয়া গুঁড়া, পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করতে হবে।

হাতে বানানো মাওয়া
উপকরণ : গুঁড়া দুধ এক কাপ, চিনি দুই টেবিল চামচ, ঘি দুই টেবিল চামচ, কেওড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি : সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে হাত দিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে।